ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। এবার থেকে জেনারেল ছাত্র-ছাত্রীরাও যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে এক দারুণ সুখবর। এবারে তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতিভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি রাজ্যের জেনারেল ছাত্র-ছাত্রীরাও যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছেন, এমনটাই জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে।

যোগ্যশ্রী প্রকল্প কি: আইআইটি এন্ট্রান্স, জেইই (অ্যাডভান্সড), জেইই (মেন), রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং নিট-এর মত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠক্রমের বাইরে ও অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ এবং গাইডেন্সের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর তাতেই রাজ্যে যে সমস্ত দরিদ্র ও অসহায় শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের উপরোক্ত পরীক্ষাগুলির জন্য বাড়তি প্রশিক্ষণ কিংবা টিউশন নেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই তাদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যোগ্যশ্রী প্রকল্প নামক এই বিশেষ প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছে। মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হলেই রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাড়তি প্রশিক্ষণ এবং গাইডেন্স পেয়ে থাকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মূলত মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর এবং আবেদনের ভিত্তিতে যোগ্য ছাত্র-ছাত্রীদের বেছে নেওয়া হয়ে থাকে।

সাফল্যের খতিয়ান: বিগত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী তার টুইটার হ্যান্ডেলে এক দীর্ঘ পোস্ট মারফত যোগশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেছেন। এই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, সমগ্র পশ্চিমবঙ্গব্যাপী যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সাফল্য ক্রমাগত হারে বাড়ছে। শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই যোগ্যশ্রী প্রকল্পের আওতাভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ২৩ জন (আইআইটির ১৩ জন) জেইই (অ্যাডভান্সড), ৭৫ জন জেইই (মেন), ৪৩২ জন রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সে এবং ১১০ জন নিট-এ স্থান অধিকার করেছে।

আরও পড়ুন: স্কুল খুলতেই, শুরু হলো সকালে স্কুল। কোন কোন শ্রেণীর সকালে স্কুল হবে জেনে নিন।

ক্রমবর্ধমান শিক্ষা কেন্দ্র এবং শিক্ষার্থী: এদিনের এই পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেছেন যে, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলির ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে সমগ্র রাজ্যে ৫০ টি যোগ্যশ্রী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আর ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষিতের সংখ্যাও ২০০০ -এর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। আগামী দিনে যোগ্যশ্রী প্রকল্পের আওতাভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়লে রাজ্যব্যাপী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কার্যকরী এই যোগ্যশ্রী প্রকল্প ইতিমধ্যেই সমগ্র রাজ্যের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে। রাজ্যের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে রাজ্য সরকারের তরফ আয়োজিত এই প্রকল্প আগামী দিনে ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে।