ইউটিউব চ্যানেল থেকে চটজলদি ইনকাম করতে চান? এই নিয়ম গুলো ফলো করুন।

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ইউটিউব -এর নাম শোনেননি এমন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী বিশ্বে বিরল। আর ইউটিউব মানে যে শুধু বিভিন্ন প্রকারের মজাদার কিংবা জ্ঞানমূলক ভিডিও অথবা সিনেমা, গান, নাচ তা নয়। এখন ভারত তথা সমগ্র বিশ্বে ইউটিউব উপার্জনের একটি বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কারণে প্রচুর সংখ্যক মানুষ ইউটিউবে নিজস্ব কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। কিন্তু ইউটিউব -এর মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ইউটিউব -এর মেকানিজম সম্পর্কে জানতে হবে, এর পাশাপাশি জানতে হবে কিভাবে ইউটিউব থেকে উপার্জন করার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলির দিকে নজর দিতে হবে।

ক্যাটেগরি নির্বাচন : ইউটিউব -এর মাধ্যমে উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই একটি নির্দিষ্ট কনটেন্ট ক্যাটাগরী নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ আপনি কোন বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করবেন তা নির্বাচন করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যে বিষয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন সেই বিষয়টি নির্বাচন করতে পারেন। এছাড়াও যে বিষয়গুলির ভিডিওতে যথেষ্ট বেশি ভিউজ হয়ে থাকে তাও নির্বাচন করতে পারেন। যেহেতু কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে এবং চ্যানেলের মনিটাইজেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার কনটেন্টের ক্যাটাগরি একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে তাই সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচন করা অবশ্য প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে যেকোনো ক্যাটাগরি নির্বাচনের পূর্বে আপনাকে যথেষ্ট রিসার্চ করে নিতে হবে।

আরও পড়ুন : এখন থেকে মিলবে বিনামূল্যে ইন্টারনেটের সুবিধা, কিভাবে পাবেন জেনে নিন।

টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন : ইউটিউবের মাধ্যমে উপার্জন করার জন্য আপনাকে নানারকম ভিডিও কনটেন্ট বানাতে হয়। তবে যেকোনো প্রকার ভিডিও কনটেন্ট বানানোর আগে আপনাকে ইউটিউবের টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন সম্পর্কে জানতে হবে। ইতিপূর্বে বহুবার দেখা গিয়েছে যে, যেসমস্ত ভিডিওগুলি ইউটিউবের টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনগুলি মেনে পোস্ট করা হয় না সেগুলিকে ইউটিউবের তরফ থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়। আর ইউটিউবের গাইডলাইন না মেনে চলার জন্য কোনো ভিডিও ডিলিট করা হলে আপনার চ্যানেলের ক্ষতি হবে। শুধু তাই নয়, ইউটিউবের গাইডলাইন না মেনে ভিডিও পোস্ট করার কারণে চ্যানেল পর্যন্ত ডিলিট করে দেওয়ার নজিরও রয়েছে। সুতরাং, ভিডিও তৈরি করবার আগে ইউটিউবের গাইডলাইন বা টার্মস এবং কন্ডিশন সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিন।

YouTube Channel

রিসার্চ : যেকোনো বিষয় নিয়ে ভিডিও বানানোর পূর্বে আপনাকে সেই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। নতুবা আপনি যে ভিডিওটি তৈরি করবেন তা যথেষ্ট তথ্য-সম্পন্ন হবে না এবং সেক্ষেত্রে আপনার ভিডিওর ভিউস কমে যেতে পারে। সুতরাং, যেকোনো ভিডিও তৈরির আগে সেই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ রিসার্চ করুন এবং সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করার পরে সেটি ইউটিউবে উপস্থাপন করুন। তবে এক্ষেত্রে যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে তা হল, যে টপিক নিয়ে ইতিপূর্বেও বারংবার কাজ হয়েছে সেই টপিক নিয়ে কাজ করলে বেশি ভিউজ পাওয়া যাবে না। যেহেতু ইউটিউব থেকে উপার্জনের পরিমাণ অনেকাংশেই ভিউজ -এর ওপর নির্ভরশীল তাই কোন টপিক কিভাবে উপস্থাপন করলে বেশি ভিউজ আসতে পারে তা সম্পর্কে আপনার নিজস্ব একটি ধারণা তৈরি করতে হবে। এছাড়াও আপনি যেকোনো ট্রেন্ডিং টপিকের ওপর ভিডিও তৈরি করতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রেও আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ রিসার্চ করতে হবে এবং দর্শকের সামনে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে হবে।

ক্রিপটিং এবং এডিটিং : আপনার কনটেন্ট সম্পর্কে আপনি যত ভালো করেই রিসার্চ করে ভিডিও তৈরি করুন না কেন ভিডিওর থাম্বনেইল বা ভিডিও এডিটিং যদি ভালো না হয় তবে তা দর্শকের মনোগ্রাহী হবে না। সুতরাং, যেকোনো ভিডিও তৈরি করার পূর্বে সেই ভিডিওর টপিকটি সম্পর্কে স্ক্রিপ্ট তৈরি করুন এবং তার পরই সেটি ক্যামেরার সামনে উপস্থাপন করুন। পরবর্তীতে সেই ভিডিওটিকে ভালো করে এডিট করুন, থাম্বনেইল তৈরি করুন এবং তারপর সেটি ইউটিউবে পোস্ট করবেন। ভিডিওর থাম্বনেইল এবং এডিটিং ভালো হলে তা দর্শকের মনোগ্রাহী হবে এবং আপনার ভিডিওর ভিউজও বাড়বে, ফলত যথেষ্ট তাড়াতাড়ি ইউটিউবে মনিটাইজেশন পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন : খুব শীঘ্রই রাজ্যব্যাপী গরমের ছুটি জারি হতে চলেছে, জেনে নিন সময়সূচী

কপি পেস্ট নয় : বহু কিছুই দেখা যায় অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর বিভিন্ন টপিক কপি করে তার ওপর ভিডিও তৈরি করে থাকেন। কিংবা বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় এমন একটি বিষয়ের উপর বারংবার ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে যেটি সম্পর্কে ইতিপূর্বে বহুবার ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। সুতরাং, কোনোভাবে কনটেন্ট কপি না করে নিজস্ব চিন্তাভাবনা তুলে ধরার চেষ্টা করুন, তাতেই আপনার চ্যানেল গ্রো করবে এবং আপনি ইউটিউব থেকে যথেষ্ট পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।