লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নতুন করে আবেদন করবেন কিভাবে? জেনে নিন সমস্ত পদ্ধতি।

একুশের নির্বাচনে একচেটিয়া জয়ের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পটি কার্যকর করা হয়েছিল, আর বর্তমানে এই প্রকল্প সমগ্র রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্পে পরিণত হয়েছে। ইতিপূর্বে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আওতায় রাজ্যের গৃহলক্ষ্মীরা ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার অনুদান পেতেন, কিন্তু বর্তমানে রাজ্য সরকারের তরফে এই নিয়মে পরিবর্তন এনে নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে। আর লক্ষ্মীর ভান্ডার সংক্রান্ত এই নতুন নিয়ম অনুসারে, এই এপ্রিল মাস থেকেই জেনারেল এবং ওবিসি সম্প্রদায় ভুক্ত মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডারের আওতায় ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলারা ১২০০ টাকার অনুদান পাবেন

কারা লক্ষ্মীর ভান্ডারের আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন – পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী ২৫ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোন মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। তবে রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা নিয়ম অনুসারে যেসব মহিলারা কোনও বিধিবদ্ধ সংস্থা, পঞ্চায়েত, পৌর নিগম বা পুরসভার অধীনে কর্মরত তারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না। অন্যদিকে যে সমস্ত মহিলারা কোন স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থা বা সরকার পোষিত শিক্ষা সংস্থান থেকে মাইনে পেয়ে থাকেন তারা লক্ষ্মীর ভান্ডারের আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না।

কিভাবে আবেদন করা সম্ভব – দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকেই মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এছাড়াও মহিলারা নিজস্ব এলাকার বিডিও অফিস বা পুরসভার অফিসে গিয়েও লক্ষ্মীর ভান্ডারের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে আবশ্যক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন – SBI তাদের সমস্ত কার্ডের চার্জ বাড়িয়ে দিল। এখনই জেনে নিন আপনার পকেট থেকে কত টাকা যেতে চলেছে।

আবেদনের ক্ষেত্রে আবশ্যক নথি – লক্ষ্মীর ভান্ডারের আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদনপত্রের পাশাপাশি আপনাকে যে যে নথিগুলো জমা করতে হবে তা হল :
১. স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জেরক্স কপি
২. আধার কার্ডের জেরক্স কপি
৩. SC/ST/OBC সার্টিফিকেটের জেরক্স কপি
৪. ব্যাংকের পাস বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠার জেরক্স কপি
৫. আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি

কবে মিলবে বর্ধিত ভাতা – কোচবিহারের এক জনসভাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৯৯ লক্ষ মহিলার একাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের বর্ধিত টাকা ট্রান্সফার করা হয়ে গিয়েছে। সুতরাং যে সমস্ত মহিলারা এখনো পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভান্ডারের আওতায় বর্ধিত ভাতা পাননি তারা খুব শীঘ্রই লক্ষ্মীর ভান্ডারের আওতায় অনুদান পাবেন।