সাধারণ নাগরিকদের জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর। নাগরিকদের সুবিধার খাতিরে এবারে পোস্ট অফিসের তরফে এমন এক বিশেষ স্কিম লঞ্চ করা হয়েছে যাতে টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে আপনারা নিজের আমানতকে দ্বিগুণ করে নিতে পারবেন। আজ্ঞে হ্যাঁ, এখন পোস্ট অফিসের টাইম ডিপোজিট স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করলে দ্বিগুণ অর্থ ফেরত পাওয়া সম্ভব। আর আজকের এই প্রতিবেদনটি পড়লেই আপনার পোস্ট অফিসের টাইম ডিপোজিট স্কিম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য, এই স্কিমের কি কি সুবিধা পাওয়া সম্ভব, এই স্কিমের আওতায় কত হারে সুদ প্রদান করা হয়ে থাকে এবং কত টাকা বিনিয়োগ করা হলে কত টাকা ফেরত পাওয়া যায় তার সম্পর্কে সমস্ত প্রকার তথ্য জানতে পারবেন।
স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত: পোস্ট অফিসের টাইম ডিপোজিট স্কিম এমন একটি সঞ্চয় প্রকল্প যাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি আপনার অর্থ দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন এবং এক্ষেত্রে কোন ঝুঁকির সম্ভাবনাও নেই। যেকোনো ভারতীয় নাগরিক পোস্ট অফিসের স্কিমের অধীনে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকরাই বিনিয়োগ করতে পারবেন তা নয়, পিতামাতার তত্ত্বাবধানে ১০ বছরের বেশি বয়সী বালক-বালিকাদের অ্যাকাউন্টও খোলা সম্ভব। মাত্র ১০০০ টাকার বিনিময়ে আপনি এই স্কিমের আওতায় বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে এই স্কিমের অধীনে বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করা হয়নি, যদিও ১০০ -এর গুণিতকে যেকোনো অর্থের অংক আপনি বিনিয়োগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করলো এসএসসি, বেআইনিভাবে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে, জেনে নিন।
টাইম ডিপোজিট স্কিমের সুবিধা: পোস্ট অফিসের টাইম ডিপোজিট স্কিমের আওতায় আপনি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট এবং জয়েন্ট একাউন্ট, উভয় ধরনের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সর্বোচ্চ তিনজন ব্যক্তি একত্রে বিনিয়োগ করতে পারবেন। শুধু তাই নয় অ্যাকাউন্ট খোলার সময় অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নিজের ইচ্ছেমাফিক নমিনী নির্বাচনেরও সুযোগ পাবেন। এছাড়াও পোস্ট অফিসের এই স্কিমে আয়কর আইনের ১৯৬১-এর ধারা ৮০ সি-র আওতায় করছাড় পাওয়া যায়।
সুদের হার এবং বিনিয়োগের সময়: পোস্ট অফিসের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, পোস্ট অফিসের টাইম ডিপোজিট স্কিমে ৭.৫% হারে সুদ পাওয়া যায়। এবার আসি সময়সীমার কথায়, এই স্কিমের আওতায় আপনি ১ বছর, ২ বছর, ৩ বছর এবং ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে পারবেন। যদিও এক্ষেত্রে বিনিয়োগের সময়সীমা বাড়িয়ে ১০ বছর পর্যন্ত করা সম্ভব।
কত টাকা বিনিয়োগ করলে কত টাকা ফেরত পাওয়া যায়: আপনি যদি ৫ লক্ষ টাকা ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করেন, তবে ৫ বছর পরে ৭,২৪,৯৭৪ টাকা ফেরত পাবেন। অর্থাৎ ৫ বছরে এই স্কিমের মাধ্যমে আপনি অতিরিক্ত ২ লক্ষ টাকা উপার্জন করে নিতে পারবেন। একইভাবে ৫ লক্ষ টাকা যদি ১০ বছরের মেয়াদে এই স্কিমের আওতায় বিনিয়োগ করা হয়, তবে সুদ হিসেবে ৫,৫১,১৭৫ টাকা পাওয়া যাবে। অর্থাৎ ১০ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা হলে তা থেকে ১০,৫১,১৭৫ টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। সুতরাং ৫ লক্ষ টাকা ১০ বছরের জন্য বিনিয়োগ করার মাধ্যমে আপনি দ্বিগুণ টাকা উপার্জন করে নিতে পারবেন।