লক্ষ্মীর ভান্ডারের পর সরস্বতী ভান্ডার। নতুন প্রকল্প মন জয় করেছে বাংলার মানুষের।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের তরফে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের জনগণের কল্যাণার্থে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছিল। যদিও এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সমস্ত পশ্চিমবঙ্গের জনগণের আলাপ আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। একুশের নির্বাচনে একচেটিয়া জয়ের পর রাজ্য সরকারের তরফে সমগ্র রাজ্যের মহিলাদের উন্নয়নের খাতিরে এই বিশেষ প্রকল্পটি কার্যকর করা হয়েছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটের আবহে সমগ্র রাজ্যজুড়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের পাশাপাশি আরো এক প্রকল্প বাংলার জনগণের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। আর এই প্রকল্পটি হলো সরস্বতী ভান্ডার প্রকল্প

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে আসার পর থেকেই এই সরস্বতী ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের কৌতূহলের শেষ নেই। যার জেরে রাজ্যের জনসাধারণের মধ্যে থেকে সরস্বতী ভান্ডার প্রকল্প কি? কেনো এই প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন প্রকার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরও মিলেছে তৎক্ষণাৎ। সরস্বতী ভান্ডার প্রকল্প সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় যে, এটি কোনো প্রকল্প নয়, এটি একটি প্রতিবাদের মাধ্যম।

Saraswati Bhandar update

আজ্ঞে হ্যাঁ, লোকসভা নির্বাচনের আবহে এমনই এক বিশেষ প্রতিবাদের শরিক হয়ে রইল সমগ্র বাংলার সাধারণ জনগণ। আর এই প্রতিবাদ আন্দোলনের মূল কান্ডারি হলেন বাংলার জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী-লেখিকা ঝর্ণা ভট্টাচার্য৷ তার মতে, নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন দলের নামজাদা নেতা-নেত্রীরা অপর দলের ভুল ত্রুটি তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের অপশব্দের প্রয়োগ করেন অনেক ক্ষেত্রেই এই শব্দগুলি অশালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, আর তার সাথে রয়েছে অপর দলের নেতা-নেত্রী এবং কর্মপদ্ধতিকে ঘিরে কুরুচিকর মন্তব্য। আর এই সমস্ত অপশব্দ এবং কুরুচিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই Saraswati Bhandar নামক এই প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে।

আর এই প্রতিবাদের ভাষাকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের বাইরে ব্ল্যাক আর্ট হাতে নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অপশব্দের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কোনো কোনো প্লাকার্ডে লেখা ছিল, লক্ষ্মীর ভান্ডারের পর সরস্বতী ভান্ডার, নির্বাচনী প্রচারে অশালীন শব্দের ব্যবহার বন্ধ করুন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে নির্বাচনের প্রচারে ব্যবহৃত সমস্ত এবং কুরুচিকর মন্তব্য শিশু থেকে শুরু করে চিন্তাশীল মানুষের মনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে, যা পরবর্তীতে মানুষ তথা সমাজের সামগ্রিক বিকাশের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভয়াবহ প্রমাণিত হতে পারে। আর এই ভাবনা থেকেই সরস্বতী ভান্ডারের মতো প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে।

আরও পড়ুন – তৎকালে টিকিট বুক করবার নতুন নিয়ম জেনে নিন। এখন ট্রেনের টিকিট বুক করা আরো সহজ।

মূলত নির্বাচনী প্রচারে কুরুচিকর মন্তব্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন অশালীন শব্দ প্রয়োগের ট্রেন্ডে রাশ টানতেই এই প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ঝর্ণা ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, এই ভাষা-সন্ত্রাস চলতে থাকলে আমাদের এই যুগ সন্ত্রাসের যুগ বলেই পরিচিত হবে। নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে যেসমস্ত অশালীন শব্দ ও কুরুচিকর মন্তব্যের প্রয়োগ করা হয়ে থাকে তা বন্ধ করতে গৃহীত এই বিশেষ পদক্ষেপ বাংলার আপামোর জনতার সমর্থন পেয়েছে।