পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক দুর্নীতি মামলা নিয়ে এবারে নতুন নির্দেশিকা জারি করল আদালত। আদালতের নির্দেশ অনুসারে এবারে বাংলার সমস্ত শিক্ষকদের দিতে হবে যোগ্যতার পরীক্ষা। আজ্ঞে হ্যাঁ, হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর তরফে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় জারি করা নির্দেশের ভিত্তিতেই এমনই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। আর তাতেই সমগ্র রাজ্যের প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি শিক্ষককে তাদের যোগ্যতার নথি জমা করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। আজকের এই পোস্টটি পড়লেই কি কি প্রামাণ্য নথি জমা করতে হবে, কিভাবে তা জমা করতে হবে, প্রামাণ্য নথি জমা করার শেষ সময় সম্পর্কিত সমস্ত প্রকার তথ্য আপনারা জানতে পারবেন।
কি কি প্রামাণ্য নথি জমা করতে হবে: শিক্ষা দপ্তরের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বাংলার শিক্ষকদের যোগ্যতা যাচাইকরণের জন্য এসএসসি-র শংসাপত্র, নিয়োগপত্র, বর্তমান চাকরির প্রমাণপত্র জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে যে, এসএসসি-এর তরফে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক না হলে অ্যাপ্রুভাল মেমো জমা করতে হবে। মূলত স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমেই ডিআইদের কাছে প্রামাণ্য নথির হার্ড কপি জমা করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
প্রামাণ্য নথি জমা করবেন কিভাবে: শিক্ষকদের যোগ্যতা প্রমাণ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা করার জন্য iOSMS নামক একটি বিশেষ পোর্টাল কার্যকর করা হয়েছে। এই পোর্টালটি ওপেন করার পর SSC Data Submission অপশনে ক্লিক করে প্রামাণ্য নথিগুলি আপলোড করার মাধ্যমে শিক্ষকদের যোগ্যতার প্রমাণপত্র জমা করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ডাটা এন্ট্রির দায়িত্বে রয়েছে সমস্ত স্কুলগুলি, অর্থাৎ সরাসরি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে স্কুলের সমস্ত শিক্ষকদের প্রামাণ্য নথি গুলি iOSMS পোর্টালে জমা করা হবে।
আরও পড়ুন: এই স্কলারশিপে আবেদন করলে পাওয়া যাবে ৩৮ হাজার ৪০০ টাকা। আবেদন পদ্ধতি জেনে নিন।
নথি জমা করার সময়সীমা: শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগ্যতার প্রমাণপত্র জমা করার জন্য ২৭শে মে ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে স্কুলগুলির তরফে তাদের সমস্ত শিক্ষকের প্রামাণ্য নথিপত্র প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে জমা করার হলে সেগুলি DI রা খতিয়ে দেখবেন। এই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর ৭ ই জুন তারিখে শিক্ষকদের যোগ্যতা সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট পেশ করবেন DI রা।

শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া: রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দপ্তরের তরফে শিক্ষকের প্রামাণ্য নথি জমা করার নির্দেশ দেওয়া হলে এই বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজ্য শিক্ষকদের একাংশ। যে সমস্ত শিক্ষকরা খুব শীঘ্রই অবসর নিতে চলেছেন তারা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত নথিগুলি কিভাবে জোগাড় করবেন তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছেন, রাজ্যের শিক্ষকমহলের একাংশ। এমনকি বহু পুরনো শিক্ষক রয়েছেন যাদের পক্ষে এই সমস্ত কাগজপত্র গুলি খুঁজে বের করে তা সঠিক সময়ের মধ্যে জমা করা যথেষ্ট সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাতেই রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দপ্তরের তরফে জারি করা এই নির্দেশিকা নিয়ে রাজ্য শিক্ষকদের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: Link