চাকরিহারাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আপডেট রাজ্য সরকারের। মাসের শুরুতেই অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা।

সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং ২০১৬ সালের শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হওয়া নিয়ে রীতিমতো আলাপ আলোচনার অন্ত নেই। আদালতের রায়ে চাকরি যাওয়াতে প্রচুর শিক্ষক রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন। আর এবারে এই সমস্ত চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। এই সমস্ত চাকরিহারা শিক্ষকদের সুবিধার খাতিরে এবারে রাজ্য সরকারের তরফে এমন এক বিশেষ ঘোষণা করা হয়েছে যার জেরে বাংলার জনগণের চোখ রীতিমতো কপালে উঠেছে।

কি বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে: শিক্ষা দপ্তর সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে যে, যেসমস্ত শিক্ষকরা আদালতের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন তাদের এপ্রিল মাসের বেতন দেবেন রাজ্য সরকার। আজ্ঞে হ্যাঁ, চকরীহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য এমনই এক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে। মূলত শ্রম আইন অনুসারে এই বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে, এমনটাই দাবি করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে। যেহেতু এই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা সম্পূর্ণ এপ্রিল মাস ধরে কাজ করেছেন তাই তাদের এপ্রিল মাসের বেতন দেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের তরফে।

আগামী পদক্ষেপ: প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি যে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। তবে শুধুমাত্র রাজ্য সরকার নয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সহ স্কুল সার্ভিস কমিশন কলকাতা আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে দারস্থ হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের অধীনে রয়েছে। আর যতদিন পর্যন্ত এই মামলা সুপ্রিম কোর্টের অধীনস্থ রয়েছে ততদিন পর্যন্ত এই সমস্ত চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা। তবে আগামী দিনেই সমস্ত চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন সংক্রান্ত কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত রূপরেখা প্রকাশ করেনি রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিক পাশ যোগ্যতায় ৩৭১২ টি শূন্যপদে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও ক্লার্ক পদে কর্মী নিয়োগ।

দ্রুত শুনানি: হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তার দ্রুত শুনানির জন্যও আবেদন জানিয়েছে স্টাফ সিলেকশন কমিশন। মূলত কোন নির্দোষ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে যাতে সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য এই আবেদন করা হয়েছে। যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্বাভাবিক নিয়মে নিয়োগ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এসএসসির কর্মকর্তারা।

যদিও এই মামলা নিয়ে এখনো পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের তরফে কোনরূপ রায় দেওয়া হয়নি। আর তাতেই সমগ্র বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনার পারদ ক্রমাগত চড়ছে। তারই মধ্যে শিক্ষা দপ্তরের তরফে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হলে সমস্ত বিষয়টি নিয়ে রাজ্যবাসীর কৌতূহল আরো বেড়েছে। এমনকি এই মামলার ভবিষ্যৎ কি হতে চলেছে তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সম্পর্ক পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ নাগরিক সহ চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং চাকরিপ্রার্থীরা।