সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার আগে কি কি খেয়াল রাখবেন? চুরির ফোন থেকে সাবধান।

আপনি কি একটি পুরোনো ফোন কিনতে চাইছেন? বর্তমান সময়ে অনেকেই পুরোনো ফোন কিনে থাকেন এবং কোনো জায়গায় কম দামে ভালো ফোন বিক্রি হতে দেখলে চটজলদি কিছু না ভেবেই সেই ফোন কিনে নেয়। এর ফলস্বরুপ সেই ব্যাক্তির বাড়িতে উপস্থিত হয় পুলিশ এবং সে কিছু না জেনেই জড়িয়ে যেতে পারে আইনি জটিলটায়। ওপরে যে ঘটনাটি বলা হলো সেটি মূলত চুরি হওয়া ফোনের জন্য কার্যকারী। কিন্তু আপনি যখন পুরোনো ফোন কিনতে যাবেন আপনি কিভাবে জানবেন ফোনটি জেনুইন না চুরির?

আজ আপনাদের সঙ্গে এমন একটি পদ্ধতি শেয়ার করতে চলেছি, যার মাধ্যমে আপনি মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে জেনে নিতে পারবেন আপনি যে মোবাইল ফোনটি কিনতে চাইছেন সেটা চুরি করা ফোন, না জেনুইন ফোন। সেই ফোন নিলে ভবিষ্যতে আপনাকে কোনো ঝামালায় পড়তে হবে নাতো! পুরোনো ফোনটি জেনুইন কিনা তা জানতে আপনার শুধুমাত্র একটি জিনিসের প্রয়োজন পড়তে চলেছে সেটি হলো সেই পুরোনো ফোনের IMEI নাম্বার।

IMEI নাম্বার বের করার পদ্ধতি:-

সাধারণত IMEI মোবাইলের বাক্সে লেখা থাকে। কিন্তু আপনি সরাসরি মোবাইল থেকেও সেই মোবাইলের IMEI নাম্বার বের করে নিতে পারেন। এরজন্য আপনাকে মোবাইলের ডায়ালপ্যাডে গিয়ে *#06# টাইপ করলেই মোবাইল স্ক্রিনে মোবাইলের IMEI নাম্বার চলে আসবে। আপনাকে IMEI কোডটি কপি করে নিতে হবে।

Find IMEI Number

সঠিক ফোন চেনার উপায়:-

এবার আপনি আপনার নিজস্ব মোবাইলের যেকোনো ব্রাউজার থেকে Sanchar Saathi -এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান এবং সেই ওয়েবসাইটের হোমপেজ কিছুটা স্ক্রল করলে আপনি Know Your Mobile/IMEI verification নামের একটি অপশন দেখতে পাবেন, সেটিতে ক্লিক করুন। এরপর আপনার সামনে একটি নতুন পেজ খুলবে এবং সেখানে ক্যাপচা পূরণ করে আপনার মোবাইল নাম্বার লিখে Get OTP অপশনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার মোবাইলে আসা OTP টি সঠিক স্থানে বসিয়ে Verify OTP অপশনে ক্লিক করুন।

IMEI verification

এরপর আপনার কাছে IMEI নাম্বার চাওয়া হবে। আপনি পুরোনো ফোনের IMEI নাম্বারটা সেখানে টাইপ করে Submit অপশনে ক্লিক করুন। এরপর সেই মোবাইলের বিস্তারিত তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন। এখানে আপনাকে যা খেয়াল করতে হবে সেটি হলো Status। স্ট্যাটাস এর পাশে যদি IMEI is Valid লেখা থাকে তবে সেই মোবাইলটি আপনি নিতে পারেন। কিন্তু যদি IMEI is Block লেখা থাকে তবে সেই মোবাইলটি থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।

IMEI Status

IMEI is Block এর অর্থ কি?

কোনো ব্যাক্তির মোবাইল চুরি হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে সেই ব্যাক্তি সাইবার থানায় গিয়ে রিপোর্ট করে এবং সাইবার থানার পুলিশ সেই মোবাইলটিকে ট্র্যাকিংয়ে বসিয়ে দেয় এবং IMEI ব্লক করে দেয়। পরবর্তী সময় যখন‌ই সেই মোবাইলটিতে কেউ সিম লাগিয়ে অ্যাকটিভ করার চেষ্টা করে তখনই সেই ব্যাক্তির লোকেশন সাইবার থানায় চলে যায় এবং পরবর্তী কালে সেই ব্যাক্তি বিভিন্নরকম আইনি জটিলতার মধ্যে জড়িয়ে যায়।

আরও পড়ুন:- Amazon-Flipkart এর রিটার্ন এবং রিপ্লেসমেন্ট পলিসিতে নতুন আপডেট। এখন সরাসরি রিটার্ন করা যাবে না কোনো ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট

অতিরিক্ত সাবধানতা:-

পুরোনো মোবাইল কেনার সময় IMEI নাম্বার চেক করার সাথে সাথে মোবাইলের কাগজপত্র ভালো করে চেক করে নেবেন।

Leave a Comment