বিকশিত ভারত–জি রাম জি আইন, ২০২৫ এর লক্ষ্য, সুবিধা। জানুন বিস্তারিত!
২০০৫ সালে প্রণয়নের পর থেকে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন (মনরেগা) প্রকাশ করেন। এই আইন প্রয়োগ করার বড়ো কারণ হলো গ্রামীণ এলাকায় মজুরি-ভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, অর্থাৎ গ্রামীণ এলাকায় অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো এবং স্থিতিশীল আয়ের ব্যবস্থা করা। তবে সময়ের সাথে সাথে গ্রামীণ ভারতের অর্থনৈতিক কাঠামো ও এই আইনের প্রয়োজনীয়তার পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের মূল কারণ হলো বর্তমান ডিজিটাল যুগ, যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, জীবিকার বহুমুখী চাহিদা ইত্যাদি।
এই প্রেক্ষাপটে ভারত সরকার ‘বিকশিত ভারত– গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজীবিকা মিশন (গ্রামীণ) বিল, ২০২৫’ আনার কথা ভাবা হয়েছে, যেটি বিকশিত ভারত– জি রাম জি আইন, ২০২৫ নামেও পরিচিত।
বলা যায় এই নতুন প্রস্তাব মনরেগা-র একটি বিস্তৃত বিধিবদ্ধ পুনর্গঠনকে পরিবর্তিত করবে। বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ কর্মসংস্থানকে আরো উন্নত করবে এবং আয়কে সুনিশ্চিত করবে।
মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন প্রত্যেক বছর গ্রামীণ পরিবারগুলোকে ১০০ দিনের কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে। এরপর তোদের একটা জীবিকা নির্বাহের পথ খুলে যায়। “বিকশিত ভারত– গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজীবিকা মিশন (গ্রামীণ) বিল” প্রস্তাবিত করার মাধ্যমে প্রশাসনিক ব্যয় ৬ শতাংশ থেকে দাঁড়িয়ে ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
আরোও পড়ুন : FD SCHEME : বাড়িতে বসেই প্রত্যেক মাসে আয় করুন ১৫ হাজার টাকা, এসবিআই এর নতুন FD স্কিম, জানুন বিস্তারিত!
বিল সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা : –
মূলত এই বিল সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে সামাজিক অর্থনৈতিক পরিসরে বৃহত্তরভাবে পরিবর্তন আনার জন্য। মনরে গা ২০০৫ সালে চালু হলেও আজকের বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্রামীণ ভারতের বাস্তবতা সম্পন্ন অন্যরকম। এইজন্য আগের বিল সংস্কার করা দরকার। ২০০৫ সালে যেখানে দারিদ্রতার হার অনেকটাই বেশি ছিল, সেখান থেকে ২০১১-১২ সালে দারিদ্রতার হার এসে দাঁড়িয়েছে ২৭.১ শতাংশ। আবার ২০২২৩ সালে সেটি এসে দাঁড়িয়েছে ৫.৩ শতাংশ। অর্থাৎ গ্রামীণ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটছে। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে গ্রামীণ জীবিকা বহুমুখী ভাবে সম্প্রসারণ ঘটার ফলে আরো বেশি করে এই বিল সংস্কার করার দরকার ছিল। এজন্যই গ্রামীণ কর্মসংস্থানকে আধুনিক রূপের নিশ্চয়তা দিতে, এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি পরিকাঠামো উন্নয়ন ঘটানোর জন্য এই বিলের সংস্কার করা দরকার ছিল।
এই আইনের মাধ্যমে প্রতিটি অর্থবছরে গ্রামীণ পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যের স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করার সুবিধা পায়। আগে ১০০ দিনের কাজ দেওয়া হলেও এখন ১২৫ দিনের কাজ দেওয়া হয়। মোট ১২৫ দিনের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেওয়ার মাধ্যমে গ্রামীণ পারিবারিক আয় বাড়বে, অর্থনৈতিক পরিকাঠামো উন্নয়ন ঘটবে।




