এবছর আপনার প্রথম ভোট? জেনে নিন ভোট দেবার সঠিক পদ্ধতি।

ভারতের সংবিধান অনুসারে ১৮ বছর বয়স হলে তবেই ভোট দেওয়ার অধিকার পাওয়া সম্ভব, আর তাতেই সংবিধান মেনে প্রত্যেক বছর প্রচুর সংখ্যক নতুন যুবক-যুবতীর নাম ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। কিন্তু সমস্ত প্রকার নিয়ম মেনে নির্বাচন কমিশনের তরফে ১৮ বছর কিংবা তার বেশি বয়সে যুবক-যুবতীদের নাম ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হলেও ভোট কিভাবে দিতে হবে তা নিয়ে প্রচুর যুবক-যুবতীর মধ্যে যথেষ্ট কৌতুহল দেখা যায়। এমনকি অনেকেই সঠিকভাবে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কেও জানেন না। যার জেরে আজকের এই পোস্টে আমরা ভোটদান পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি।

ভোটকেন্দ্র – ভোট দান করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো ভোটকেন্দ্র বা ভোট বুথ বা পোলিং স্টেশন অর্থাৎ যেখানে আপনার ওয়ার্ডের ভোটদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে সেই স্থানের ঠিকানা সঠিকভাবে জেনে নেওয়া। ভোটকেন্দ্রের ঠিকানা সঠিকভাবে না জানলে কোনোভাবেই ভোটদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব না। আর ভোটদানের জন্য আপনাকে কোন পোলিং স্টেশনে যেতে হবে তা জানার জন্য আপনাকে প্রথমেই নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

India general election

পরবর্তীতে উক্ত ওয়েবসাইটের হোম পেইজে থাকা অপশনগুলির মধ্যে থেকে Electors অপশনটি নির্বাচন করুন। পূর্বোক্ত অপশনে ক্লিক করলে আপনার সামনে একটি নতুন পেজ আসবে, ওই পেজে থাকা Search Your Name in Electoral Roll অপশনে ক্লিক করুন। পরবর্তীতে আপনার সামনে আসা নতুন পেজটিতে আপনার ভোটার কার্ডে থাকা EPIC নম্বর সঠিকভাবে লিখুন, আপনার রাজ্য নির্বাচন করুন এবং ক্যাপচা কোডটি সঠিকভাবে পূরণ করে সাবমিট করুন। উপরোক্ত প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করলেই আপনি আপনার Polling Station বা ভোটকেন্দ্র সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।

ভোটগ্রহণের তারিখ এবং আইডি কার্ড – পোলিং স্টেশন -এর ঠিকানা সঠিকভাবে জানার পর আপনার এলাকায় কত তারিখে ভোট দানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তা সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে। যেহেতু সমগ্র দেশে একই দিনে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবেন না, সুতরাং, আপনাকে নিজস্ব এলাকার ভোট দানের তারিখ সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট দিনে আপনাকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড অথবা আধার কার্ড অথবা পাসপোর্ট কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কার্যকরী যেকোনো আইডি প্রুফ সহকারে পোলিং স্টেশনের ঠিকানায় পৌঁছোতে হবে।

আরও পড়ুন – লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টাকা জমা দেবার দিন শেষ। RBI নিয়ে এলো UPI এর মাধ্যমে টাকা জমা দেবার নতুন পদ্ধতি।

ভোট দান – নির্দিষ্ট দিনে পোলিং স্টেশনে পৌঁছোনোর পর ফার্স্ট পোলিং অফিসার ভোটার লিস্টের সাথে মিলিয়ে আপনার আইডি ভেরিফিকেশন করবে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় পোলিং অফিসার আপনাকে স্বাক্ষর করাবে এবং আপনার ভোটার স্লিপটি দেবে। এরপর তিনি আপনার বাঁ হাতের তর্জনী আঙ্গুলে একটি কালির দাগ দেবেন। এরপর তৃতীয় পোলিং অফিসার আপনার ব্যালট ইউনিট বা ব্যালট মেশিন অ্যাক্টিভেট করবেন। এই মেশিনে আপনি বিভিন্ন প্রকার রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর নাম দেখতে পাবেন। এর মধ্যে থেকে আপনাকে আপনার পছন্দসই প্রার্থীকে বেছে নিতে হবে এবং উক্ত প্রার্থীর নামের পাশে থাকা বাটনটি প্রেস করতে হবে। বাটনটি প্রেস করলেই আপনি যে প্রার্থীকে নির্বাচন করবেন তার নামের পাশে থাকা লাল লাইটটি জ্বলে উঠবে এবং ভোট দেওয়ার পরই মাত্র ৭ সেকেন্ডের জন্য ভিভি প্যাড মেশিনে আপনি যাকে ভোট দিয়েছেন তার নাম ভেসে উঠবে।