২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের পর স্কুলের পড়াশোনা নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বড়ো আপডেট।

বিগত কয়েকদিনে যে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে, তা হল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি। আর এই নিয়োগ দুর্নীতি জেরেই ২০১৬ সালের প্যানেলের সকলের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে আসার পর থেকেই যে সমস্ত শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হয়েছে তাদের অনুপস্থিতিতে স্কুলগুলি কিভাবে চলবে, তা নিয়ে চিন্তার পারদ চলছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক থেকে শুরু করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্মকর্তাদের। চলুন তবে ২০১৬ সালের বাতিল হওয়া প্যানেল এবং তা সংক্রান্ত পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা যাক।

কি বলা হয়েছে হাইকোর্টের তরফে: ২০১৬ সালের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি দেবাংশু বসাকবিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায় জানিয়েছে যে, সুপার নিউমারারি পদ বেআইনিভাবে গড়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে যে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনো চাকরি বৈধ হওয়া উচিৎ নয়। যার জেরে মোট ২৫৭৫৩ জন চাকরিপ্রার্থীর চাকরি বাতিল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি -এর চাকরি বাতিল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যেসকল ব্যক্তিরা প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন অথবা যারা সাদা খাতা জমা দেওয়া সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন কিংবা OMR শিটে জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন, তাদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের ১২ শতাংশ সুদ সহ সমস্ত বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কিভাবে চলবে স্কুলগুলি: পর্ষদ সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, স্কুল পরিচালনা করা এবং পঠন-পাঠনের সুব্যবস্থা বজায় রাখা সম্পূর্ণরূপে বোর্ডের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের অভাবে স্কুলগুলি কিভাবে চলবে তার দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া বোর্ডের কর্তব্য। তবে কিভাবে স্কুল পরিচালনা করা হবে বা পরবর্তীতে স্কুল পরিচালনা সংক্রান্ত কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে তা সম্পর্কে কোনরূপ তথ্য প্রকাশ করা হয়নি পর্ষদের তরফে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর: ফুড এসআই পরীক্ষা নিয়ে হাইকোর্টের বড়ো সিদ্ধান্ত। কি হতে চলেছে এই পরীক্ষার ভবিষ্যত।

সুপ্রিম কোর্টে গড়াবে মামলা: এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়কে কেন্দ্র করে চিন্তার পারদ চড়ছে পর্ষদের। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে শুধুমাত্র মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নয়, এসএসসির তরফেও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

কি বললেন পর্ষদ সভাপতি: এসএসসি দুর্নীতি সম্পর্কে পর্ষদ সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, খুব শীঘ্রই পর্ষদের তরফে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা ফাইল করা হবে। কেন হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হচ্ছে তা ন্যায় সঙ্গতভাবে তারা বিচারপতির সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। কোনভাবেই কোন নির্দোষ শিক্ষকের চাকরি যাতে বাতিল না হয় তার নিশ্চিত করার জন্যই তারা সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।